https://www.facebook.com/pages/Father-of-Nation-Bangabandhu
নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই, কারও ছবক শুনতে চাই না ॥ প্রধানমন্ত্রী
আশুগঞ্জে পাঁচ বিদ্যুত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২০ জুলাই ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। একটি সমৃদ্ধ আত্ম-নির্ভরশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। আমরা কারও ছবক শুনতে চাই না। আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য হল ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তারপর দেশের উন্নয়ন করতে হয়। ’৯৬ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখনও দেশ বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। আমরা ৫ বছর উন্নয়ন কাজ করেছি। যখন ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বিএনপি ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি আর লুটপাটে মত্ত থাকে। ক্ষমতায় এসে জঞ্জাল পরিষ্কার করি। তিনি বলেন, এতোগুলো প্রাইভেট চ্যানেল ছিল না। সাংবাদিক শিল্পীসহ নানা শ্রেণী মানুষের চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির কারণে দেশকে নরকে পরিণত করে। তিনি শনিবার ব্রাক্ষণয়াড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশন কোম্পানির ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র উদ্বোধন ও ১৩০১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি বিদ্যুত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে কি দিয়েছে? ৫শ’ জায়গায় বোমা হামলা করেছে। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিজের ছেলেকে কি শিক্ষা দিয়েছেন? উনি উনার ছেলেকে দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ অনেককে হত্যা করেছিল। আমাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। আহসান উল্লাহ মাস্টার ও এসএএমএম কিবরিয়াসহ ৪জন এমপিকে হত্যা করেছিল। আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী ও আব্দুল আলীমকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিল। পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে পুরস্কৃত করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চেষ্টা করছে। জাতির পিতা দেশকে উন্নত করার জন্য যখন প্রচেষ্টা চালান তখন তাঁকে হত্যা করা হয়। খুনিরা এ হত্যাকা-ের বিচার বন্ধ রাখেন। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। তা অব্যাহত থাকবে। কেউ এ বিচার বন্ধ করতে পারবে না। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলাম প্রসঙ্গে বলেন, হেফাজতে ইসলাম ইসলামের কথা বলে মসজিদে আগুন দিয়েছে, কোরান শরীফ জ্বালিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও এক সঙ্গে এত কোরান শরীফ পোড়ানোর ঘটনার নজির নেই। জামায়াত-বিএনপির ও হেফাজত মিলে এসব কোরান শরীফ পোড়ায়। তিনি প্রশ্ন রাখেন তারা কি করে ইসলামের হেফাজত করবে? ৫ মে হেফাজতে ইসলাম যে তান্ডব চালিয়েছিল তা নজিরবিহীন। সারা দেশে মানুষ সে দিন আতঙ্কিত ছিল। তখন আমি বলেছি কি ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় আমার জানা আছে? র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি হেফাজতের সঙ্গেই হেফাজত কর্মীদেরকে সরিয়ে দিয়েছিল। অথচ তারা মিথ্যাচার করে বলছে, যে শাপলা চত্বরে আড়াই হাজার লোক হত্যা করা হয়েছে। অথচ তারা এ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৯ হাজার মেগাওয়াট ্িবদ্যুত উৎপাদন করেছি। উৎপাদন ছাড়া দেশ উন্নত হয় না। ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করেছি আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করব। নেপাল ভারত থেকে বিদ্যুত আনব। সূর্যের আলো থেকে অর্থাৎ সোলার সিস্টেম ৩০ লাখ গ্রাহক সৃষ্টি করেছি। যে সব প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুত নেই। প্রধানমন্ত্রী টিআরএর টাকা দিয়ে সোলার সিষ্টেম চালু করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের আহবান জানান।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আমরা যখন সরকারে আসি তখন বিদ্যুত ছিল ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। গত সাড়ে ৪ বছরে ৩ হাজার ৮শ’ ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৫টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৫শ’ ৩৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৬শ’ ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করেছি। আরও ৩৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এগুলো থেকে ৬হজার ৯শ’ ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপন্ন হবে। ৩ হাজার ৯শ’ ৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ১৯টি বিদ্যুত কেন্দ্রের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেনি। চলমান বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোও রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। ফলে উৎপাদন কমেছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিকই ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি ও বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী এনামূল হক এমপি, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট সায়েদুল হক এমপি, এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি, বিদ্যুত বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। ভারত থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানী শীঘ্রই শুরু হবে। ২ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুত আমদানী করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম চালু করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত, দুর্গম ও পাহাড়ী অঞ্চলে প্রায় ১শ’ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিদ্যুত সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং ৩ লাখ বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ৩২ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুত দেয়া হয়েছে। দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। গ্যাস উৎপাদন প্রায় ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়িয়েছি। বিদ্যুত ও সার উৎপাদন এবং শিল্প কারখানা ও বাসা-বাড়িতে এ গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে সার্বিক উন্নয়নে আশুগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হল আশুগঞ্জ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে আশুগঞ্জকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বন্দরের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই আশুগঞ্জ বন্দরকে ’পোর্ট অব কল‘ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জ্বালািন গ্যাস প্রসঙ্গে বলেন, সিলিন্ডার গ্যাস বেশি বেশি উৎপাদন করে সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে কি দিয়েছে? ৫শ’ জায়গায় বোমা হামলা করেছে। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিজের ছেলেকে কি শিক্ষা দিয়েছেন? উনি উনার ছেলেকে দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ অনেককে হত্যা করেছিল। আমাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। আহসান উল্লাহ মাস্টার ও এসএএমএম কিবরিয়াসহ ৪জন এমপিকে হত্যা করেছিল। আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী ও আব্দুল আলীমকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিল। পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে পুরস্কৃত করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চেষ্টা করছে। জাতির পিতা দেশকে উন্নত করার জন্য যখন প্রচেষ্টা চালান তখন তাঁকে হত্যা করা হয়। খুনিরা এ হত্যাকা-ের বিচার বন্ধ রাখেন। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। তা অব্যাহত থাকবে। কেউ এ বিচার বন্ধ করতে পারবে না। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলাম প্রসঙ্গে বলেন, হেফাজতে ইসলাম ইসলামের কথা বলে মসজিদে আগুন দিয়েছে, কোরান শরীফ জ্বালিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও এক সঙ্গে এত কোরান শরীফ পোড়ানোর ঘটনার নজির নেই। জামায়াত-বিএনপির ও হেফাজত মিলে এসব কোরান শরীফ পোড়ায়। তিনি প্রশ্ন রাখেন তারা কি করে ইসলামের হেফাজত করবে? ৫ মে হেফাজতে ইসলাম যে তান্ডব চালিয়েছিল তা নজিরবিহীন। সারা দেশে মানুষ সে দিন আতঙ্কিত ছিল। তখন আমি বলেছি কি ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় আমার জানা আছে? র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি হেফাজতের সঙ্গেই হেফাজত কর্মীদেরকে সরিয়ে দিয়েছিল। অথচ তারা মিথ্যাচার করে বলছে, যে শাপলা চত্বরে আড়াই হাজার লোক হত্যা করা হয়েছে। অথচ তারা এ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৯ হাজার মেগাওয়াট ্িবদ্যুত উৎপাদন করেছি। উৎপাদন ছাড়া দেশ উন্নত হয় না। ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করেছি আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করব। নেপাল ভারত থেকে বিদ্যুত আনব। সূর্যের আলো থেকে অর্থাৎ সোলার সিস্টেম ৩০ লাখ গ্রাহক সৃষ্টি করেছি। যে সব প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুত নেই। প্রধানমন্ত্রী টিআরএর টাকা দিয়ে সোলার সিষ্টেম চালু করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের আহবান জানান।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আমরা যখন সরকারে আসি তখন বিদ্যুত ছিল ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। গত সাড়ে ৪ বছরে ৩ হাজার ৮শ’ ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৫টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৫শ’ ৩৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৬শ’ ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করেছি। আরও ৩৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এগুলো থেকে ৬হজার ৯শ’ ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপন্ন হবে। ৩ হাজার ৯শ’ ৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ১৯টি বিদ্যুত কেন্দ্রের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেনি। চলমান বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোও রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। ফলে উৎপাদন কমেছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিকই ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি ও বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী এনামূল হক এমপি, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট সায়েদুল হক এমপি, এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি, বিদ্যুত বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। ভারত থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানী শীঘ্রই শুরু হবে। ২ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুত আমদানী করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম চালু করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত, দুর্গম ও পাহাড়ী অঞ্চলে প্রায় ১শ’ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিদ্যুত সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং ৩ লাখ বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ৩২ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুত দেয়া হয়েছে। দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। গ্যাস উৎপাদন প্রায় ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়িয়েছি। বিদ্যুত ও সার উৎপাদন এবং শিল্প কারখানা ও বাসা-বাড়িতে এ গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে সার্বিক উন্নয়নে আশুগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হল আশুগঞ্জ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে আশুগঞ্জকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বন্দরের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই আশুগঞ্জ বন্দরকে ’পোর্ট অব কল‘ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জ্বালািন গ্যাস প্রসঙ্গে বলেন, সিলিন্ডার গ্যাস বেশি বেশি উৎপাদন করে সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment